বঙ্গ ভঙ্গ,ঘটি-বাঙ্গাল
ও মহাত্না ব্রিটিশ
"পলাশীর
যুদ্ধের মাত্র ৩বছরের মাথায় বাংলা-বিহারে শুরুহয় ফকীর-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।ব্রিটিশরা
এতোটাই মহান ছিল যে সংসার ত্যাগী এইসব সাধুরাও আর চুপ করে বসে থাকতে
পারেনি।ব্রিটিশ অধিকৃত কর্ণাট ও বোম্বাইতে কখনওই এতোটা বিদ্রোহ হয়নি যতোটা বাংলায়
হয়েছে।১৭৬০-১৮০০ সালের ফকীর-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ,১৭৬৬-৮৩ সালের মেদেনীপুরের বিদ্রোহ,১৭৬৭-৬৮
সালের ত্রিপুরায় শামশের গাঝীর বিদ্রোহ,১৭৬৯ সালে সন্দ্বীপের কৃষক বিদ্রোহ,১৭৭০
কৃষক তন্তুবায়কদের বিদ্রোহের ফলে ক্রদ্ধ ব্রিটিশ সরকার বাংলার এই
বীরত্বকে শেষ করে দেওয়ার জন্যে ও ভৌগোলিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৭৭০
সালে বাংলা থেকে পারগানাহ-ই-হাভেলী বিচ্ছিন্ন করে ১২০৩ সালের ফেলে আসা নাম
পূর্নিয়া নামে বিভাগটি বিহারের সাথে যুক্ত করে।তৎকালীন নাওয়াব সাইফ-উল-মূলকের
নাবালকত্বের সুযোগে এই জঘন্য কাজটি করা হয়।এতে ব্রিটিশরা ১ঢিলে ৩ পাখি
মারে-১/বাংলাকে ভৌগোলিক ভাবে দুর্বল করা হয়,২/বিহারের সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে
বিহারীদের অনুগত করে বিচ্ছিন্নবাদ তৈরীর অপচেষ্টা{যদিও বিহার নামটি যতো দিন(১২০০
খ্রীঃ)ততোদিন থেকেই বিহার বাংলার অবিচ্ছেদ্য প্রদেশ},৩/পারগানাহ-ই-হাভেলী পরিবর্তন করে সেন
যুগের নাম(যদিও তা ১৭৭০ সালেও প্রচলিত ছিলো)পূর্নিয়ায় নামান্তরিত করার মাধ্যমে
কিছু বিশ্বাসঘাতক হিন্দুকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়-এবং তা সফলও হয়।কলিকাতা
শহর নির্মাণের পর থেকেই কিছু রাষ্ট্রদ্রোহী ধর্মান্ধ হিন্দু কলিকাতায় আশ্রয়
নেওয়াকে রীতিতে পরিণত করে যেমন কৃষ্ণ দাস বল্লভ।আবার ১শ্রেণীর হিন্দু ছিলেন যারা
দেশপ্রেমিক(যেমন রায়-ই-রায়ান দিওয়ান-ই-কুল আমীর-উল-উমারা মোহন লাল কাশ্মীরি
বাহাদূর) এটাই ছিল ব্রিটিশদের হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও মুসলিমদের ছোট করার ১ম
ধাপ।কিন্তু বাঙালীরা এতেও দমেনি বিদ্রোহের আগুন আরঅ জোরে শোরে জ্বলে উঠে-১৭৭৫-১৮০২
সালে করিম শাহ্র নেতৃত্বে পাগল বিদ্রোহ,১৭৭৬-৮৭ সালের চাকমা বিদ্রোহ,১৭৭৮-৮০
সালের ১ম নীল বিদ্রোহ,১৭৮০-১৮০০
সালের রেশম চাষীদের বিদ্রোহ,এবং ১৭৮৩ সালে রংপুরে নূর-উদ-দ্বীনের বিদ্রোহ।ক্রদ্ধ ব্রিটিশ ১৭৮৩ সালে
পারগানাহ-ই-হাভেলীর মতো কাল্পনিক সীমারেখা টেনে দামিন-ই-কোহ্কে সাওতাল অধ্যুষিত
বিধায় সাওতাল পরগনা নামে ১টি নতুন জেলা সৃষ্টি করে তা বিহারের সাথে জুড়ে দেওয়া
হয়।এর পেছনেও উদ্দেশ্যছিল হিন্দু সাঁওতালদের অনুগত করা ও মুসলিমদের মনে হিংসার অনল
প্রজ্জলিত করা-যাতে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যে ফাঁটল ধরে ও বিদ্রোহ করার শক্তি লোপ
পায়।কিন্তু সে আশা গুড়ে বালি,
১৭৮৪-১৭৯৬ সালে যশোর-খুলনার প্রজা বিদ্রোহ,বীরভূম-বাকুড়ার
প্রজা বিদ্রোহ,১৭৯২
সালে বরিশালে বালাকী শাহ(রঃ)এর বিদ্রোহ,১৭৯৮-৯৯ সালে বীরভূমি-বাকুড়ায় ২য় দফা
প্রজা বিদ্রোহ,১৮০৬-১৮১৬
সালের মেদেনীপুরের নায়েক বিদ্রোহ,১৮১২ সালে
ময়মনসিংহের কৃষক বিদ্রোহ,১৮১৯ সালে সন্দ্বীপে ২য় দফা কৃষক বিদ্রোহ,১৮০০-৩০
সালে ময়মনসিংহে হাতী খেদা বিদ্রোহ,১৮২৫-২৭ সালে ময়মনসিংহে পাগলপন্থীদের ২য়
বিদ্রোহ,১৮৩০-৪৮
সালে ২য় নীল বিদ্রোহ,১৮৩১
সালে ২৪ পরগনায় তিতুমীর(রঃ)এর বিদ্রোহ,১৮৩২-৩৩ সালে ময়মনসিংহে পাগলপন্থীদের ৩য়
বিদ্রোহ,১৮৩৭-১৮৮২
সালের গারো বিদ্রোহএবং ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতার মহা সংগ্রাম-যা শুরুই
হয়েছিল বাংলার ব্যারাকপুর থেকে।এই সব বিদ্রোহ একা বাঙ্গালীরাই করেছে-যা ব্রিটিশদের
ভিত নড়িয়ে দেয়-তাই ১৮৫৮ সালে ভিক্টোরিয়া ভারতের রাজ্যগুলোর শাসনভার নিজ হাতে তুলে
নেন।এই বিদ্রোহে কলিকাতার অধিকাংশ হিন্দুই ব্রিটিশদের নির্লজ্জ ভাবে সাহায্য করে ও
ইশ্বরগুপ্তের মতো কবি নামধারী কিছু অশ্লীলতার প্রবর্তক বিনে পয়সার দালাল তাদের
রচনাতে ব্রিটিশদের জয়গান গায়(এরকম নোংরা বুদ্ধিজীবির আরও অনেকেই ছিলো) তাই যেসব
বাড়ীর দরওয়াজায় কাঠকয়লা দিয়ে Calcutta Babu লেখা থাকতো তা গোরা সৈন্যদের চোখে পবিত্র
বোধ হতো ও ঐ বাড়ী ধ্বংসযজ্ঞের হাঁত থেকে নিস্তার পেতো।অথচ ১৮৫৭ সালের এই মহাযুদ্ধে
হিন্দু সৈন্যরাই ছিলো সংখ্যাগোরিষ্ট-৮০,০০০ সেনার মাঝে ৫০,০০০(স্মৃতি
থেকে বলছি-১৯/২০ হতে পারে-তা হলে ক্ষমাপ্রার্থি) ধিক ক্যালক্যাটা বাবুজদের,ও সালাম
বীর হিন্দুদের।যাহোক এই ১৮৫৭তে কলিকাতার তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের কারণে
হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে বিভেদের বীজ বপন করে।কারন অধিকাংশ বাঙালী হিন্দুই ছিল
ব্রিটিশদের পক্ষে।এতকিছুর পরেও বিশ্বের সর্বনিকৃষ্ট জাতীর আশ মিটলো না-১৮৭৪ সালে
বাংলার ৩টি জেলা জালালাবাদ(বর্তমান সিলেট বিভাগ ও করিমগঞ্জ),কাছাড় ও
গোয়ালপাড়া(সাবেক রাঙামাটি)কে সুশাসনের খোড়া যুক্তি দেখিয়ে আসামের সঙ্গে যুক্ত করা
হলো।এসময় জালালাবাদকে তার পুরনো নামে(সিলেট)ফিরিয়ে আনা হয়।এই সময়েও ব্রিটিশ
কুকুর(আমি ব্রিটিশকে সিংহ নয় কুকুর বলে ডাকতেই বেশি তৃপ্তি পাই)দের বুলি ছিল-এতো
বড় দেশ শাসন করতে অসুবিধা হয়-সুশাসন প্রতিষ্টা সম্ভব নয়।এতেও তৃপ্ত না হয়ে Bitch Britishরা ১৮৯২
সালে বাংলার লুসাই পাহাড়কে আসামের সঙ্গে যুক্ত করে।না এর পরও Busted Britishদের
খাহেশ মেটেনি স্যার উপাধীধারী আসামের চীফ কমিশনার উইলিয়াম ওয়ার্ড ১৮৯৬ সালে বাংলার
ময়মনসিংহ,ঢাকা ও
চট্টগ্রামকে আসামের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন প্রদেশ গঠনের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু
বাঙ্গালীদের তীব্র আপত্তি ও ধিক্কারের মুখে তা মুখ থুবড়ে পরে।এতো কিছুর পরও কিন্তু
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেমে থাকেনি-১৮৫৯-৬১ সালের ৩য় নীল বিদ্রোহ ও ১৮৭২-৭৪
সালে সিরাজগঞ্জের কৃষক বিদ্রোহ ব্রিটিশদের
আশার গুড়ে ১রাশ বালি ছিটিয়ে দেয়।পূর্ণিয়া ও সাঁওতাল পরগনাকে বিহারের সঙ্গে যুক্ত
করার সময় বাংলার নাওয়াবের প্রতিবাদের উত্তরে বিশ্বাসঘাতক ব্রিটিশরা আশ্বাস
দিয়েছিল-"বিহারের সাথে জুড়েদিলে ক্ষতি কি মহামান্য নওয়াব?বিহারও
তো বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর অধীন-যা আপনার অধীনেই আছে" সেই বেশ্যার জাতরাই ১৯০৩
সালে বিহারকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বতন্ত্র প্রদেশ
সৃষ্টিকরে।এই সব নোংরামীর অন্যতম হোতা ছিল স্যার খেতাব ধারী লে.কর্ণেল চার্লস
গ্রান্ট,এই পামরই
১৮৫৩ সালে বলেছিল "ঐক্যবদ্ধ বাংলা ব্রিটিশদের জন্য ১টি বিরাট হুমকি-তাই একে
খন্ড খন্ড করে দিতে হবে-দেশটিকে ২ভাগে বিভক্ত করতে হবে" এই নোংরা মানসিতার
ব্যক্তিটির জন্যেই ১৮৫৪-১৯০৩ পর্যন্ত বাংলাকে ৩বার ব্যবচ্ছেদ করা হয়।তার মনের
কুৎসিত লালসাকে চরিতার্থ করার জন্য কুকুর কার্জন ১৯০৫ সালে বঙ্গ ভঙ্গ করেন।৪৯ বছর
আগের ইচ্ছা এভাবেই পুরন করলো কুকুররা।পূর্ব বাংলা তথা মুসলিমদের উন্নয়নের বুলি
কপচে ব্রিটিশরা এই নোংরা কাজটি করে,ব্রিটিশদের আদি দালাল ঢাকার খাজা পরিবারের
জমিদাররা ও নির্বোধ মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গের জন্য উল্লসিত হয়ে ব্রিটিশদের প্রতি
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।বঙ্গ ভঙ্গের পেছনে ব্রিটিশ কুকুর ও নির্বোধ মুসলিমদের কতোগুলো
যুক্তি ছিল,তা হচ্ছে
এই-১/কলিকাতায় ২২টি কলেজ ও ১টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে,তা ছাড়াও আর সব উন্নয়ন কলিকাতাতেই
হচ্ছে-ঢাকায় তেমন কিছুই হচ্ছে না।আমার জওয়াবঃ সেটাই কি স্বাভাবিক নয়?কারন
কলিকাতা তখন রাজধানী ছিল।আমার গ্রামের বাড়ী চুয়াডাঙায়,তাই বলে
কি আমি বোলবো সবকিছু ঢাকায় কেন হয়?চুয়াডাঙায় কেন নয়? ২/ঢাকা
১সময় রাজধানী ছিল,আমার
জওয়াবঃ মুরশিদাবাদও তো রাজধানী ছিল,আরও আলীশান রাজধানী ছিল।৩/ঢাকা কলিকাতা
চেয়েও আরও প্রাচীন রাজধানী।আমার জওয়াব গৌড় তো আরও প্রাচীন ও মহিমান্বিত রাজধানী
ছিল,আর গৌড়
মুঘলদের নয় বরং বাংলার সুলতানদের নির্মিত আর গৌড়ের সাথে দিল্লী বাদে ভারতের আর
কোনো শহরেরই তুলনা হয় না,আর হবেও
না কারণ তৎকালীন সমস্থ সেরা শহরগুলোর মাঝে গৌড়ের অবস্থান ছিল ৩য়।তাহলে তো গৌড়ের
অধিবাসীদেরই আগে অন্দোলন করা উচিত ছিল?৪/নতুন প্রদেশ হবে মুসলিমদের জন্য-যাতে
মুসলিমরা হবে সংখ্যা গোরিষ্ট।আমার প্রশ্নঃ তাই যদি হয় তাহলে মুরশিদাবাদকে কেন নতুন
প্রদেশে অর্ন্তভুক্ত করা হলো না?যেখানে তখন মুরশিদাবাদের ৭০% মানুষ ছিলো মুসলিম?প্রেসিডেন্সী
বিভাগই বা কেন বাদ গেলো ওখানকার ৫৫% মানুষই তো মুসলিম।আসলে ব্রিটিশদের মূল
উদ্দেশ্য ছিল এই নোংরা খেলা খেলে হিন্দু-মুসলিমের মাঝে লড়াই বাধিঁয়ে দেবে-ফলে
বাঙালীরা দুর্বল হয়ে পরবে ও বিদ্রোহের আগুন নিভে যাবে।হ্যাঁ এইবার তারা সফল
হয়-বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমেই হিন্দু-মুসলিম পরস্পরের চরম শত্রুতে পরিণত হয়।ফলসরুপ
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব অবাঙালীদের হাতেঁ চলে যায়।মহামতি গোখেলের ১টি
বাণী থেকেই ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অসাড়তা ও বাঙালীদের নেতৃত্বের স্বীকৃতি পাওয়া
যায়।গোখেল বলেছিলেন : "What Bengal said 2day,the rest of india would say
2morrow".এই বঙ্গ
ভঙ্গের সমর্থনের জন্য ব্রিটিশরা মগজ ধোলাইয়ের জন্য কিছু বইও লিখেছিল তার ভেতর
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো-"Romance of an Eastern capital"(F.B.Bradly Bird)যা
অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভাষায় লিখা ও যে কেউই তা পরে নষ্টালজিয়ায় ভুগবেন-তবে তার
সুক্ষ-সুপ্ত বার্তা হচ্ছে-পূর্ব বাংলা ১টি আলাদা দেশ,আর এই
বইতে সুলতানী যুগের ইতিহাসকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে-বাংলার ১জন সুলতানের
হাতেঁ এই বই পড়লে ইতিহাস বিকৃতির জন্য নির্ঘাত ব্রাডলি বার্ডকে শুলে চড়ানো হতো।যাই
হোক বাঙালীদের মাঝে আত্নঘাতি লড়াই লাগলো,ফলে বাঙালী জাতীয়তাবাদের স্থলে অলিক
ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জন্ম হলো,স্বাধীন বাংলার বদলে অখন্ড ভারতের আন্দোলন শুরু হলো।১৯১১ সালে কিছু
দেশপ্রেমিক জনতার জন্য বঙ্গ ভঙ্গ রদ হলেও রায়ট থেমে থাকেনি।নোয়াখালীতে মুসলিম
সংখ্যাগোরিষ্ট থাকায় রায়োটে এখানকার হিন্দুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়,আবার
১৯৪৬এর কলিকাতার দাঙ্গায় মুসলিমদের তদ্রুপ ক্ষতি হয়।ব্রিটিশদের মনের আশা পূর্ণ হয়,বাংলা
ভাগ হয় ১৩৫২ খ্রীঃ জন্মনেওয়া বাংলার অপমৃত্যু হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট।যারা
বাঙালীদের কাপুরুষ বলে তাদের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে করা বাঙালীদের এই বিদ্রোহগুলোর
সংখ্যা হিসেব করতে বোলবো,১ই সাথে
চ্যালেঞ্জ জানাবো ভারতের অন্য যে কোনো জাতীর সাথে বিদ্রোহের এই সংখ্যার তুলনা করে
দেখতে।যারা অলিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদ বলায় কষ্ট পেয়েছেন তাদের বলছি অপেক্ষা করুন আমি
সে ব্যাপারেও লেখে প্রমাণ করে দেবো।যারা ব্রিটিশদের গাল দেওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন তাদের
বলছি ওদের জন্য এর থেকে ভালো ভাষা আমি ব্যবহার করতে পারি না।ব্রিটিশরা আমার মতে
বিশ্বের সর্বনিকৃষ্ট জাত,ওরা
ইহুদীদের থেকেও খারাপ।কারন সবাই জানে ইসরাঈল ১টা জারজ রাষ্ট্র আর সেই জারজ সন্তান
জন্মেছে ব্রিটিশদের ঔরস্যে ও আমেরিকার গর্ভে।এদের আমি এতোটাই ঘৃণা করি যে আমি
অস্ট্রেলিয়ায় যাইনি শুধু একারণেই।আমি আমার বাবার বারংবার করা আমন্ত্রণের জওয়াবে
বলেছিলাম-"যেদিন অস্ট্রেলিয়ার পতাকায় Union jack আর উড়বে না আমি সেইদিন ওখানে যাবো"
আমার আব্বাও জওয়াবে বলেছিলো-তাহলে তোমার জীবণেও এখানে আসা হবে না,কারণ ওরা
ব্রিটিশদের শাসনে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে" সব বন্ধুকে শেষ ১টা কথাই বলতে চাই-
ভারতের পাঞ্জাবী,গুজরাটি,রাজপুত,তেলেগু,তামিল,ডোগরা,শিখ,কানাড়ী,ওড়িয়া,অহমী,মারাঠা,কাশ্মীরি
ইত্যাদি সমস্থ জাতীর ভেতর আমরা বাঙালীরা সেরা,তাই আসুন মনগড়া অলিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে
ছুড়ে ফেলে আমাদের আদি ও আসল বাঙালী জাতীয়তাবাদ আকড়ে ধরি ও বাঙালীত্বের ধারক,বাহক ও
রক্ষক বাংলাদেশকে শ্রদ্ধা করি
হুম, বুঝলাম। কিন্তু আরও নিয়মিত লিখা আশাকরি
উত্তরমুছুনজাতীয়তাবাদ একটি কুফরী মতবাদ।জাতীয়তাবাদ এক জাতীর সঙ্গে অন্য জাতীর যুদ্ব বাধায়।
উত্তরমুছুনNizamul66 কুফরি কেমনে হইল???
উত্তরমুছুন